ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেহরির পর সংঘর্ষ শুরু, চললো ইফতারের পরও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ১২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) সেহরির পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ইফতারের পরও চলে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় ১৫ নারীসহ ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সঙ্গে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নুরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে শনিবার সেহরির পর থেকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে ১২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। সারাদিন দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ ইফতারের পরও অব্যাহত থাকে। এ ঘটনায় ১৫ নারীসহ ২১ জনকে আটক করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ৫০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম