ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্বাধীনতা দিবসে প্রতিপক্ষের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৪

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোনা | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ চার নেতা আহত হন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারী (২৫), দপ্তর সম্পাদক সালমান হাসান (২৫) ও ছাত্রলীগ নেতা রহুল আমীন (২৬)।

উপজেলা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফেরার পথে উপজেলা ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের নেতারা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। হামলায় সোলায়মান হোসেন হাসিবসহ চার ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গুরুতর আহত রনি বেপারীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত সোলায়মান হোসেন হাসিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ফিরছিলাম। পথে উপজেলা চত্বরেই উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই স্থানীয় সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। কেন আমাদের ওপর হামলা করেছে তা আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা ব্যস্ত। উপজেলা পরিষদের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের হামলার ঘটনায় আমরা জড়িত না।

পূর্বধলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সামনে কোনো ঝগড়া বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমি আমার ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে উপজেলা পরিষদের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই লোকজনের জটলা দেখতে পাই। তখন জানতে পারি সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

হামলার বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। তবে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এসআর/এমএস