রাজশাহী
ব্যস্ত সিল্কপাড়া, ৫০ কোটি টাকা ব্যবসার আশা মালিকদের
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে রাজশাহীর সিল্কপাড়ায়। দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। এবার অন্তত ৫০ কোটি টাকার ব্যবসার প্রত্যাশা কারখানা মালিক সমিতির।
সিল্কপাড়া ঘুরে দেখা যায়, একদিকে গুটি থেকে সুতা কাটা হচ্ছে। অন্যদিকে সেই সুতা থেকে মেশিনের মাধ্যমে কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। আর সেই কাপড়ে বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। পাশের শোরুমগুলোতে ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত কর্মচারীরা। তবে ক্রেতাদের চাপ নেই তেমন।
একই দৃশ্য রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, ঊষা সিল্ক, আমানা সিল্ক, রাজশাহী সিল্কসহ সব প্রতিষ্ঠানে। এবার সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবির দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা। পাশাপাশি থ্রি-পিস ও অন্য সামগ্রী কিনছেন তারা।
সপুরা সিল্কে শাড়ি কিনতে আসা সামিনা আখতার বলেন, ঈদে আমাদের আগ্রহ থাকে সিল্কের কাপড়ে। এবারও ঐতিহ্যবাহী সিল্কের কাপড় কিনতে এসেছি। নতুন ডিজাইন কিছু কাপড় এসেছে। প্রথমে বাচ্চাদের জন্য পরে নিজের পছন্দের শাড়ি কিনবো।
পাঞ্জাবি কিনতে আসা মহসিন উদ্দিন বলেন, একটু দেরিতে সিল্ক পাড়া জমে উঠে। রোজা রেখে ভিড়ের মধ্যে কেনাকটা করতে ভালো লাগে না। তাই এখনই কিনে নিচ্ছি। প্রতিনিয়ত এখান থেকে বাজার করি।
সপুরা সিল্ক মিলসের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, তিন হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বানিয়েছি আমরা। আমাদের এখানে ৪৫০০-২৫০০০ টাকার মধ্যে পাঞ্জাবি, ২৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যে শার্ট, ৬৫০-৪০ হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-পিস পাওয়া যাবে। এছাড়াও ওড়না-স্কাপসহ সিল্কের সবকিছুই রয়েছে।
রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশনের ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, আমারা প্রস্তুতি রেখেছি। আশা করছি অন্য বছরের চাইতে বেশ ভালো ব্যবসা হবে। ১০ রমজানের পর থেকে হয়তো অধিক সংখ্যক ক্রেতা আসবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিল্ক মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, এবার আমরা আশা করছি অন্তত ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
আরএইচ/এমএস