ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তিন দিনেই বন্ধ কৃষকের বাজার, শেডে হয় তাসখেলা

হুসাইন মালিক | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ১২ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত শাকসবজি সরাসরি বিক্রির জন্য বসানো হয়েছিল কৃষকের বাজার। এর জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৩ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মাণ করে একটি শেড। কিন্তু তিনদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় বাজারটি।

এখন শেডটি পাঁচ মাস ধরে পড়ে থাকায় তাস খেলার আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ সেখানে রান্নার লাকড়ি স্তূপ করে রাখছেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারের ক্যাম্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে শেডটি।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে কৃষকের বাজার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ শাকসবজি বাজারজাতকরণ সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের অদূরে শেড নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর ‘কৃষকের বাজার’ নামের ওই শেড উদ্বোধন করা হয়। তখন জেলা বাজার ও বিপণন অফিস জানায়, বাজারটিতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি সরাসরি বিক্রির সুবিধা পাবেন। ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্বোধনের পরে মাত্র দুই দিন বাজারটি চালু ছিল। তারপর বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, চেয়ার-টেবিল পেতে শেডের মধ্যে চলছে তাসের আড্ডা। অনেকে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করছেন। একটি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পও করা হয়েছে। কেউ কেউ জ্বালানি কাঠ-খড়ি রেখেছেন।

পাশের চায়ের দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাজারটি উদ্বোধনের পর এক-দুটি হাট বসতে দেখেছি। পরে আর কোনো হাট বসেনি, কৃষকরাও আসেন না।’

স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলী বলেন, এখনতো লোকজন বসে আড্ডা দেয়। কেউ কেউ তাসও খেলে। আবার খড়িও রেখেছে অনেকে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, স্থান নির্ধারণে ভুল হওয়ায় বাজারটি জমে ওঠেনি।

তিনি বলেন, ‘কৃষকরা সরাসরি আসছেন না। সেখানে আমাদের লোকজন দেওয়ার ব্যাপারে আলাপ চলছে। আমরা বাজারটি পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি।’

শেড নির্মাণের খরচের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিপণন অধিদপ্তর থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শেডটি করা হয়। নির্মাণের ব্যয় সম্পর্কে আমাদের জেলা পর্যায়ে কিছু বলেনি। ঢাকা থেকে লোক এসেছে, সেখান থেকেই করে চলে গেছে। আমি যদিও নিশ্চিত না, তবে খুব সম্ভবত ৪ লাখের ওপরে না, ৩ লাখের কিছু বেশি হবে। আমাকে কোনো চিঠিও দেয়নি।’

এফএ/এএসএম