ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কৃষকলীগ নেতাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সাদেক মন্ডল (৫৫) নামে এক কৃষকলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাদেক মন্ডলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে প্রতিপক্ষ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের কাকনি গ্রাম থেকে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সাদেক মন্ডল ওই গ্রামের আরজ আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি কাকনি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

কাকনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক তালুকদার জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ যখন মরদেহ উদ্ধার করে, তখন আমি দেখেছি তার জামার বোতাম ছেঁড়া ছিল ও শরীরে অনেক ধুলাবালি লেগে ছিল। এছাড়া তাকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী ভাড়া করা হয়েছিল, তার প্রমাণ আছে। এতেই বোঝা যায়, সাদেক মন্ডলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি সাদেক মন্ডল। সকালে বাড়ির পাশে গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার বাবা আত্মহত্যা করেননি। জমি সংক্রান্ত বিরোধে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আমার চাচা আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন তাকে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাহফুজ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সাদেক মন্ডল ও তার ভাই আনোয়ার মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। তবে মীমাংসা হয়নি।

মরদেহ বহনকারী অটোরিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ নেওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠানোর সময় মরদেহের মাথার পেছনে রক্তাক্ত জখম দেখতে পেয়েছি।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন মন্ডল (৪৫), তার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও নাতি আজাদ সজল (২১)।

তিনি বলেন, পরিবার যেহেতু হত্যার দাবি করছে, তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস