ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রমজানে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন শাহ আলম

শরীফুল ইসলাম | প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৪

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। রমজান এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্য মজুত করে দাম বাড়িয়ে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আছে ব্যতিক্রম। তেমনই একজন মানবিক ব্যবসায়ী শাহ আলম। যিনি রমজান উপলক্ষে মাত্র এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরকুমিরা চালতাতলা সুপার মার্কেটে শাহ আলমের দোকান। তার দোকানে কম দামে পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা।

রমজানে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন শাহ আলম

আহসান উল্লাহ খান নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘শাহ আলম একজন খুদ্র ব্যবসায়ী হয়েও অনেক বড় কাজ করেছেন। সারাদেশে অন্য ব্যবসায়ীরা যেখানে রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন, সেখানে তিনি মাত্র এক টাকা লাভ করছেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।’

পেশায় একজন অটোরিকশাচালক দেলোয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করি। কোথাও শাহ আলমের মতো কম দামে পণ্য বিক্রির কথা শুনিনি। দূর থেকেও তার কাছে মানুষ আসে রমজানের কেনাকাটা করতে।’

রমজানে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন শাহ আলম

ব্যবসায়ী খোরশেদ বলেন, ‘আমার পাশের দোকানি শাহ আলম। তিনি রমজান এলেই কম দামে জিনিসপত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। মানুষের কথা চিন্তা করে এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করছেন শাহ আলম ভাই।’

কথা হয় মানবিক ব্যবসায়ী শাহ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রমজানে মুড়ি, ছোলা (বুট), খেজুর, খেসারির ডাল, বেসন, সয়াবিন তেল, চিড়াসহ যাবতীয় মুদিমাল কম দামে বিক্রি করি। এসব পণ্যে কেজিতে মাত্র এক টাকা লাভ করি। পণ্যের মূল্যতালিকাও দোকানে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবছরও একইভাবে পণ্য বিক্রি করেছি।

রমজানে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন শাহ আলম

তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে রমজানে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো বিপাকে পড়ে। তাই গরিব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের কথা মাথায় রেখে রমজানে অল্প লাভে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন, তাদের কাছে আমার দাবি থাকবে, তারাও যেন মানুষের কথা চিন্তা করে সীমিত লাভ করেন।

শরীফুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস