ভারত থেকে এলো টিসিবির ৪৮০ টন ছোলা
বেনাপোল বন্দর দিয়ে এবার ৪৮০ টন কাঁচা ছোলা আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) বিকেলে ভারত থেকে প্রথম চালান আমদানি করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার বলেন, প্রথম চালানে ৪৮০ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ছোলা আমদানি খরচ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা পড়লেও ৪৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫৫ টাকায় খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। এছাড়া রমজানের মধ্যে ছোলার পাশাপাশি ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্রবমূল্যের অস্বাভাবিক বাজারে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ২০২২ সালে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এবার রমজানে সরবরাহের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি চলমান আছে। নতুন করে চার হাজার টন কাঁচা ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম চালানে ৪০০ টন ছোলা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে সাধারণ ব্যবসায়ীদেরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচা ছোলা আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে সে সুযোগের কোনো সুফল পাচ্ছে না ক্রেতারা। গত বছরে ছোলার কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়া তা বেড়েছে ১০০ টাকার ওপরে। অবশেষে রমজান উপলক্ষে সরকার কম মূল্যে বিক্রির জন্য টিসিবির পণ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা যুক্ত করে আমদানির উদ্যোগ নেয়।
সরকারিভাবে ছোলা আমদানিতে বাজারে ছোলার দামের ঊর্ধ্বগতি কমবে বলে আশা ক্রেতাদের। আসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম কমলে মানুষ উপকৃত হবে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, রোজায় টিসিবির অর্ধেক মূল্যের পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষ পেলে তাঁরা খুব উপকৃত হবেন।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রবের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যাতে দ্রুত ছাড় হয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
টিসিবির পরিবার কার্ডধারী একজন গ্রাহক এত দিন ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছিলেন। এর সঙ্গে এখন থেকে তিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলাও কিনতে পারবেন।
মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/এমএস