ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খেলাপিদের খপ্পড়ে দেউলিয়ার পথে মোরেলগঞ্জ বিআরডিবি

জেলা প্রতিনিধি | বাগেরহাট | প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) অফিসটি ঋণখেলাপিদের খপ্পড়ে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খেলাপি সদস্য ও অফিসের কয়েকজন কর্মচারীর মামলার কারণে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বেহাত হয়ে আছে। এ টাকার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৬১ লাখ টাকা থাকায় ব্যাংকটি বিআরডিবির চার কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তহবিল আটকে দিয়েছে। এতে অর্থ সংকট ও সুবিধাভোগীদের আস্থাহীনতায় পড়েছে বিআরডিবি।

টাকা আদায়ের জন্য ৪০ জন খেলাপি সদস্যের নামে সার্টিফিকেট মামলা করলেও এ মামলার কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামছুর রহমান ।

সূত্রমতে, ১৯৭২ সালে মোরেলগঞ্জে বিআরডিবির কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ৮-১০টি প্রকল্পের আওতায় চলতে থাকে কার্যক্রম। ১৮৭টি সমিতির চার হাজার ৫৬০ জন সদস্যের কাছে তিন কোটি ৮৭ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে খেলাপি সদস্যদের কাছে দুই কোটি ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ টাকার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৬১ লাখ টাকা থাকায় ব্যাংকটি নিরাপত্তাজনিত কারণে ২০১৭ সাল থেকে বিআরডিবির চার কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তহবিল আটকে দিয়েছে।

অন্যদিকে, চাকরির বয়স ৬৫ বছর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে অফিসের পাঁচজন কর্মচারী জজকোর্ট ও হাইকোর্টে ১১টি মামলা করেছেন। ওই কর্মচারীরা তাদের আওতাভুক্ত সমিতিগুলোর টাকা আদায়ের তথ্য অফিসে জমা না দেওয়ায় আরও প্রায় এক কোটি টাকা অফিস ফান্ডে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামছুর রহমান বলেন, বিআরডিবিকে স্বাভাবিক গতিতে ফেরাতে এরইমধ্যে ৪০ জন খেলাপির নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায়, অফিসে জনবল নিয়োগ ও কর্মচারীদের করা মামলার ফয়সালা না হলে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ছয় কোটি টাকা মাঠে রেখে যেকোনো সময় বিআরডিবির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় বিআরডিবির সার্টিফিকেট মামলার কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রয়েছে। খুব শিগগির মামলার কার্যক্রম শুরু করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।

এসআর