ফরিদপুর
স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় লিটন ওরফে রমজান মিয়া (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের শুরু থেকে রমজান মধুখালির গাজনা ইউনিয়নের একটি গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর ওই কিশোরীকে রমজান তার এক আত্মীয়র বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু রমজানের সেই আত্মীয় ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে বলে। পরে রমজান ওইদিনই কিশোরীটিকে মধুখালি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে রেখে চলে যান।
পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলার পর তার বাবা বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর রমজানসহ তার সহযোগী সুজন সিকদার, জাকির মিয়া, মকিদুল মিয়া ও আসান মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মধুখালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে মধুখালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এস এম রিয়াদুজ্জামান ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি লিটন ওরফে রমজান, সুমন শিকদার ও জাকির মিয়াকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, এ মামলায় অন্য দুই আসামি সুমন শিকদার ও জাকির মিয়ার অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ধরনের রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে ও দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এমএস