ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাবনা

শেষবেলায় শীত ফিরে আসায় বিপাকে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | পাবনা | প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মাঘের শেষে শীত বিদায় নেওয়ার পর আবার ফিরে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় দুই মাস ধরে চলা তীব্র শীতের পর সপ্তাহখানেক ধরে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু গত তিন ধরে তাপমাত্রার পারদ আবার নেমেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.২ ডিগ্রি। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি আর বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি।

পদ্মা-যমুনা নদীবেষ্টিত পাবনা অঞ্চলে আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দিনের আকাশ পরিষ্কার ও সূর্যের আলো থাকলেও হাড়কাঁপা শীতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। চরাঞ্চলের মানুষ এবং নিম্নবিত্ত ও দিনমজুরদের কাজে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবার ডিসেম্বর মাস থেকেই এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। জানুয়ারি মাস থেকেই দেখা দেয় একটানা শৈত্যপ্রবাহ। অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে ওঠানামা করে। প্রায় দুই মাস ধরে অব্যাহত তীব্র শীতের পর ৩১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছিল। তবে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ নামে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৪ শতাধিক শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, জানুয়ারির শুরু থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করে। ৩১ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু বেড়ে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে ওঠে। তবে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবার তাপমাত্রার পারদ নিচে নামতে থাকে।

পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত শীতার্তদের মধ্যে ৪৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। শীত হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে কিছুটা কষ্ট বেড়েছে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/এএসএম