ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদরাসায় ধর্ষণের শিকার শিশু শিক্ষার্থী, ৪ শিক্ষক আটক

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ওই মাদরাসার ৪ শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ওই মাদারাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এ সময় তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় ওই মাদরাসার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানায় শিশুটি। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসা থেকে বাড়িতে আসার পর তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ও জামা কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ে বলেছে মাদরাসার হুজুর তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কোনো কথা বলতে পারেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে আমাদের জানায় আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? শিক্ষক বাবার সমান, সেই শিক্ষক কীভাবে একাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এফএ/এএসএম