আলমডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার স্বাক্ষরিত ৪৬.০০,১৮০০,০১৭,২৭.০০২,২০-৯০ নম্বর প্রজ্ঞাপনে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন ১১নং নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিআর মামলা নং-৪৯/২০২৩ এর অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গত ৯/১০/২০২৩ তারিখে গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য গত বছর ১১ মার্চ আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক জহুরুলনগর গ্রামের আত্তাব মন্ডলের ছেলে দবির উদ্দিন, খবির উদ্দিন, আনিস ও একই গ্রামের ইসলাম লস্করের ছেলে মিয়াসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় আহত দবিরের ছেলে খোকন ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন। এরপর ১৩ দিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় দবিরের মৃত্যু হলে মামলায় হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হয়। পরে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জিআর ৪৯/২০২৩ মামলাটি গৃহীত হয়।
হুসাইন মালিক/এফএ/এএসএম