বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জলহস্তী আতঙ্ক
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাফারি পার্কে বর্তমানে চারটি জলহস্তীর বসবাস। এর মধ্যে তিনটিই বড়। পার্কের দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রও জলহস্তীর বেষ্টনী। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে বিশালাকার এ প্রাণীটি পার্কের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেষ্টনীর ভেতর জলাশয়ে থাকে জলহস্তীরা। নিশাচর প্রাণী হওয়ায় দিনের বেলায় পানিতে থাকলেও রাতের বেলায় এরা ডাঙ্গায় ওঠে। পার্কের এ বেষ্টনীটি জরাজীর্ণ হওয়ায় কয়েকমাস ধরেই মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে জলহস্তীরা। এরপর পার্কের বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালায়। এই জলদানবের আক্রমণে ইতিমধ্যে আহত হয়েছেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কর্মচারী। এনিয়ে কয়েক মাস ধরেই সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মতে, অচিরেই যদি এ বেষ্টনী সংস্কার করা না হয় তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
পার্ক সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ২০১১ সালে গাজীপুরের এ পার্কটি নির্মাণ শুরু হয়। অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের কাজের ফলে জলহস্তী বেষ্টনীটি শুরু থেকেই ছিল অরক্ষিত। বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ে। বিশাল আকারের এ প্রাণীটি আটকে রাখতে পার্ক কর্তৃপক্ষ ভেঙে পড়া বিভিন্ন স্থানে খুঁটি দিয়ে জোড়াতালি দিলেও আটকে রাখা যাচ্ছে না। কয়েকমাস আগে জলহস্তীগুলো কুমির বেষ্টনীর বেশকিছু অংশ ভেঙে ফেলে, আশপাশেরও ভাঙচুর করে। এসময় তাদের বেষ্টনীতে ফেরাতে গেলে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কয়েকজন আহত হন।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জলহস্তীর জরাজীর্ণ বেষ্টনীর কারণে আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। রাতের বেলায় প্রতিনিয়তই এরা বেরিয়ে যায়। বিশালাকার প্রাণী হওয়ায় বেষ্টনীতে ফেরাতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বেষ্টনীটি সংস্কার করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখেছি। জরুরিভাবে সঠিক পরিকল্পনা করে স্থায়ীভাবে মেরামত করা প্রয়োজন।
আমিনুল ইসলাম/এনআইবি/এসএম