রোজার আগেই খেজুরের দামে চোখ কপালে
রোজায় ইফতারির অন্যতম একটি উপাদান খেজুর। বছরের অন্য দিনগুলোতে যেমনই থাকুক না কেন রমজান এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এসব খেজুর কিনতে গিয়ে নাম আর মান নিয়ে মতভেদ থাকলেও এবার রোজার আগেই দাম শুনে চোখ কপালে উঠছে ক্রেতাদের। বছরের ব্যবধানে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে হয়েছে আকাশচুম্বী।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রংপুরের সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কমদামি খেজুর হিসেবে পরিচিত জিহাদি ও দাবাস। বর্তমানে প্রতিকেজি দাবাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। গত বছর এই দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর ১৪০ টাকায়।
এছাড়া মরিয়ম খেজুর গত বছর বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা। আর এবার দাম উঠেছে ৯০০ টাকা। শুধু জিহাদি, মরিয়ম বা দাবাস নয়, সব খেজুরের দামই বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৭০০ টাকা, বরই খেজুর ৩৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ২৪০-২৮০ টাকা, মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, তিউনিশিয়া ৪৫০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০০ টাকা, আম্বারা খেজুর ১২০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৯০০ টাকা। সুপরি জাতের খেজুর ৮০০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫৫০ টাকা, নাকাল খেজুর ২৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৪২০ টাকা এবং কালমি খেজুর ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকা।
সিটি বাজারের খেজুর বিক্রেতা সুজন বাবু জাগো নিউজকে বলেন, দুই বছর আগের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর যে খেজুর ৩২০ টাকা ছিল এখন তা ৪৩০ টাকা। ৭০০ টাকার খেজুর হয়েছে ১০০০ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
সিটি বাজারে খেজুরের দাম জিজ্ঞেস করছিলেন কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। এ সময় দোকানি দাম হাঁকতেই যেন চক্ষু চড়কগাছ তার। অবাক হয়ে অন্য দোকানে চলে যান তিনি।
দাম শুনে কী মনে হচ্ছে জানতে চাইলে কফিল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম একটু দামটা শুনে যাই। বছর ব্যবধানে যে দাম বেড়েছে তাতে রমজানে খেজুর কেনা হবে কিনা বলতে পারছি না।
কফিল বলেন, যে খেজুর গত বছর ৬০০ টাকা ছিল এখন তার দাম বলা হচ্ছে ৯০০ টাকা। রোজা শুরু হতে এখনও দেড় মাসের মতো বাকি। তার আগেই যে দাম, রোজা শুরু হলে না জানি আরও কত বাড়বে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে টার্মিনাল বাজারের খেজুর বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, খেজুরতো দেশে হয় না। ডলারের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। এখন এক গাড়ি খেজুর আনতে যে টাকা লাগে, এক বছর আগে সে টাকায় তিনগাড়ি খেজুর মিলতো।
এদিকে শুধু খেজুর নয়, দাম বেড়েছে ছোলাবুটেরও। এক মাস আগে যে ছোলাবুটের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৮০ টাকা এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়।
এফএ/এমএস