ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েক দিন যাবত উত্তরের বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা। আর তীব্র শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বাড়তি রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শিশু রোগীদের জন্য আসন আছে ৪৫টি। সেখানে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছেন ৯৫ জন। এর মধ্যে ৮০ ভাগ রোগী ঠান্ডায় আক্রান্ত। এছাড়াও ৫৬ জন পুরুষ রোগী ভর্তি আছেন।
শুক্রবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে আসনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে। বিছানা না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী।
রোগীর স্বজন খাদেমুল ও ইরফান জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া নানা বয়সী মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রাম থেকে আসা হোসেন আলী বলেন, আমার দেড় বছরের ছেলে কয়েক দিন যাবত ঠান্ডায় আক্রান্ত। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বিছানা না পাওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীতে আমাদের ও রোগীর খুব কষ্ট হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন যাবত ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা কমছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সাজ্জাত হায়দার শহিন বলেন, এই এলাকায় প্রচণ্ড শীত হওয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এখানে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৪৫ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা অধিক। শীতের সময় বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই শীতে গরমকাপড়ের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ তার।
এফএ/এমএস