ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি | ফেনী | প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৪

ফেনীর পরশুরামে উত্তর বাউরখুমা এলাকার একটি বসতঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের রিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলাটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতের বিচারক সাইয়েদ মুহাম্মদ সাফায়েত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী লাকী আক্তার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পরশুরাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম (৫০) ও কনস্টেবল শেফালীকে (৩০) আসামি করা হয়েছে।

বাকি আসামিরা হলেন পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার করিম ও তার দুই ছেলে মো. হালিম (১৯) ও মামুন (২৬) এবং একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শাবলু (৩০)।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার জানান, এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী সরকারি কর্মকর্তা হয়েও আইনবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছেন। বাদী লাকী আক্তার তিন বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট থেকে পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা এলাকায় এসে নতুনভাবে বসতি স্থাপন করেন। তার তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছেন। তাদের হালিম, মামুন, শাবলু প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে লাকী আক্তার মেয়র ও পরশুরাম মডেল থানায় কয়েকবার অভিযোগ করেছেন।

আইনজীবী আরও জানান, করিমের সঙ্গে লাকী আক্তারের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বাদী কিছুদিন আগে ইসলামী ব্যাংক পরশুরাম শাখা থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের বিষয়টি জানতে পেরে হালিম, মামুন, শাবলু ও করিম টাকাগুলো আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেন। গতবছরের ২০ ডিসেম্বর লাকী আক্তারের বাড়িতে মাদক রয়েছে বলে এসআই মোয়াজ্জেম ও কনস্টেবল শেফালী অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু তল্লাশি করে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী বাদীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা চার লাখ টাকা, এক লাখ টাকা মূল্যের একটি সোনার চেইন নিয়ে যান। পরে একটি টমটম গাড়ির চার্জারও নিয়ে যান তারা।

তারা লাকী আক্তারের নাবালক ছেলে শাকিব ও মেয়ের জামাতা জিয়াউর রহমানকে মারধর করেন। এসময়ে হালিম, মামুন, শাবলু বাদী ও তার মেয়েদের শ্লীলতাহানি করেন। পরে ছেলে ও মেয়ের জামাতার নামে পরশুরাম মডেল থানায় মিথ্যা মাদক মামলা দেন।

এরআগে এসআই মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে আব্দুল মান্নান নামের একজন পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/এমএস