ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তরুণদের কথা শুনলেন সাকিব, দিলেন দিক-নির্দেশনা

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০৫:৫৮ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

তরুণদের নানান দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। একই সঙ্গে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মাগুরায় কী কী করতে চান সে বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানের উন্মুক্ত মঞ্চে স্থানীয় তরুণদের কথা শোনেন সাকিব। এসময় তিনি তাদের নানান দিক-নির্দেশনা দেন।

জেলা শহরের তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে সাকিব তরুণদের প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মাগুরা জেলার বেকার সমস্যা সমাধান ও শিল্পনগরী গঠনে কী ভূমিকা রাখবেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘মাগুরা ছোট একটি জেলা হলেও উন্নয়ন সম্ভবনা রয়েছে এখানে। জেলাটি কৃষিনির্ভর। তাই কৃষিকে বেশি প্রধান্য দিতে হবে। পাশপাশি জেলায় একটি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে। সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে বেকার সমস্যার সমাধান হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দর ও সফল আগামীর মাগুরা গঠনে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। রাস্তার ধারে এলোমেলো অবস্থায় যেসব স্ট্রিট ফুডের দোকান আছে, এগুলোকে একটি সুন্দর পরিবেশ দেওয়া দরকার। সেজন্য আমাদের শহরের নবগঙ্গা নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে করে সেখানে স্থানান্তর করা দরকার। তাহলে শহরের পরিবেশ সুন্দর হবে যেমন, তেমনি নদী ঘিরে বিনোদনের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।’

অনুষ্ঠানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তনুশ্রী বিশ্বাস মাগুরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেন। এ সময় সাকিব আল হাসান বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। মাগুরার সবক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।’

তরুণদের উদ্দেশ্যে সাকিব বলেন, ‘কোনো কিছু না পেয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমরা সুন্দর একটি পৃথিবী পেয়েছি। এখানে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হবে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দরকার। সেজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। মাঝপথে থেমে গেলে হবে না। একবার না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে। তবে লক্ষ্যটা সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার।’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি একটি লক্ষ্য নিয়ে লেগে থাকে তবে সফলতা আসবেই। সময় লাগতে পারে। কারও ক্ষেত্রে অল্প সময়, কারও ক্ষেত্রে ১০ বছর। কারও ক্ষেত্রে তারও বেশি। কিন্তু সফলতার ক্ষেত্রে হতাশার কোনো জয়গা নেই। হাল ছাড়লে হবে না।’

মিলন রহমান/কেএসআর