‘যে পুলিশ কথা শুনবে না, তারে থানায় রাখমু না’
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার রাতে কালকিনির সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার পক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুল হাসান সেলিম। ওই সভায় তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: নিক্সন চৌধুরীর টাকা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কামরুল হাসান সেলিমের ৪৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে বলতে শোনা যায়, আমরা হলাম আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার যদি কেউ বলে পা ভেঙে ফেলবে, আমাকে ফোন দিবেন। চতুর্দিক থেকে বল্লার মতো এসে ওরে কাট-সাট করিয়া দেওয়া হবে। কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না? ভয় লাগে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাগো কথা শোনে না? যে পুলিশ কথা শুনবে না, তারে থানায় রাখমু না, পরিষ্কার কথা।
কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, এ ঘটনায় আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া নৌকার পক্ষের কর্মীরা প্রতিনিয়ত আমাদের কর্মীদের নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুল হাসান সেলিম বলেন, আমার এ বক্তব্যটি প্রায় এক ঘণ্টার মতো ছিল। সেটি কাট-সাট করা হয়েছে। এখানকার একজন সন্ত্রাসীর উদ্দেশে কথাগুলো বলেছিলাম। আরও বলেছিলাম পুলিশ যদি সেই সন্ত্রাসীকে না ধরে, তাহলে সেই পুলিশের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিকেলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জেআইএম