তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি
কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায় তনুর মৃত্যু হয়নি।
সোমবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা (কেপি সাহা) সাংবাদিকদের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়ে এসব কথা বলেন।
কামদা প্রসাদ সাহা জাগো নিউজকে জানান, এই মুহূর্তে প্রথম ময়নাতদন্ত আমাদের হাতে প্রস্তুত রয়েছে। তা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ যে কোনো মুহূর্তে তা গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি আরো জানান, দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে আর কিছুদিন সময় লাগবে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আরও কিছু প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হয়তো তা থেকে তনুর মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
এর আগে গত ৩০ মার্চ তনুর মরদেহ কবর থেকে তোলার পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেছেন, সোহাগী জাহান তনু যে হত্যার শিকার, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মরদেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক আলামত থেকে পুলিশ সুপার এ ধারণা করছেন বলে জানিয়েছেন।
এ জন্য দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তে এ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সব বিষয় স্পষ্ট হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তিনি মনে করছেন তনুকে অন্য কোথাও হত্যা করে ঝোপের মধ্যে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যে আলামত রাখা হয়েছে তা সাজানো মনে হয়েছে।
কামাল উদ্দিন/এফএ/পিআর