নাইমা-রাশেদ দম্পতির কোলে ঠাঁই হলো সেই ‘মুক্তির’
অবশেষে রাশেদুল ইসলাম-নাঈমা সুলতানা দম্পতির কোলে ঠাঁই হলো নবজাতক সেই মুক্তির। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর জন্ম দেওয়া নবজাতকে উপজেলা প্রশাসন তাদের জিম্মায় দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নিঃসন্তান দম্পতির জিম্মায় তুলে দেওয়া হয় মুক্তিকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা বেগম, সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকত উল্লাহ মিয়াজী।
এর আগে মায়ের অনুপস্থিতিতে পাঁচদিন ধরে নবজাতকটি লালন-পালন করছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তাকে অন্য এক মায়ের বুকের দুধ পান করানো হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শিশুটির জন্ম হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে ‘মুক্তি’।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালালেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা
জানা গেছে, বিজয় দিবসে সড়কের পাশে প্রসব ব্যথায় কাতরানো মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পথচারীরা সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেদিন দুপুরে তার কন্যাশিশুর জন্ম হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে চলে যান প্রসূতি। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পাঁচ দিনেও সন্তানকে দেখতে আসেননি সেই মা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, প্রসবের ঘণ্টাখানেক পর মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী চলে গেছেন। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) উপজেলার বাড়বকুন্ড ইউনিয়েনর বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম-নাঈমা সুলতানা দম্পতির জিম্মায় নবজাতক মুক্তিকে দেয়া হয়েছে।
এম মাঈন উদ্দিন/এএইচ/জেআইএম