ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাত্তারপুত্রের বছরে আয় ৫ লাখ, আমিনীপুত্রের বাড়ি-ফ্ল্যাট কিছুই নেই

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত দুই সংসদ সদস্যের ছেলে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছয়বারের এমপি প্রয়াত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে। আর প্রয়াত আরেক এমপি মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে আবুল হাসনাত আমিনী ইসলামী ঐক্যজোট থেকে প্রার্থী হয়েছেন।

সাত্তারপুত্র কোনো দলীয় পদে না থাকলেও আমিনীপুত্র আবুল হাসনাত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান পদে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ আরও ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আমিনপুর বাড়ি ছিল প্রয়াত ফজলুল হক আমিনীর। তিনি ২০০১ সালে চারদলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে জয়লাভ করেন। সেসময় এ আসনে বিএনপি থেকে আর মনোনয়ন পাননি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। আমিনীকে ছাড় দেওয়ায় চারদলীয় জোট সরকারে সাত্তার ভূঞাকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল।

বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আমিনপুরে হলেও আমিনীপুত্র আবুল হাসনাত ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সরাইলের হালুয়াপাড়ায় ভোটার হয়েছেন।

নির্বাচনী হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসনাতের কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। তার স্ত্রীর নামেও বাড়ি-ফ্ল্যাট নেই। হাসনাত আমিনীর কাছে নগদ পাঁচ লাখ ও ব্যাংকে ৫২ হাজার টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। পেশায় শিক্ষক আমিনীপুত্রের অন্যান্য মূলধন ২৯ লাখ ২২ হাজার টাকা। শিক্ষকতা থেকে বার্ষিক আয় সাড়ে চার লাখ টাকা। তার কাছে ৫০ তোলা স্বর্ণালংকার রয়েছে।

অন্যদিকে, হলফনামা অনুযায়ী প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান ওরফে তুষারের নগদ ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৯ টাকা রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ৩০ ভরি, যার মূল্য অজানা। পেশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তুষারের ব্যবসায় পুঁজি ৩৭ লাখ ৯৫০ টাকা। তার বার্ষিক আয় চার লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ টাকা। এরমধ্যে ব্যবসা থেকে আসে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং চাকরি থেকে আয় ৬৪ হাজার ৪৯০ টাকা।

তুষার পৈতৃক সূত্রে বাড়ি পেয়েছেন বলে হলফনামায় লিখেছেন। তবে কয়টি বাড়ি, কোথায় অবস্থিত, এর মূল্য কত তা উল্লেখ করেননি তিনি।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম