ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাওরের সোনালি ধানে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

লিপসন আহমেদ | প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

কুয়াশার সকাল থেকে শুরু করে প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওরের কৃষক। আর কৃষাণীরা ব্যস্ত নতুন ফসল ঘরে তুলতে। তবে কঠোর পরিশ্রম হলেও সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকরা এবার বেশ খুশি।

কারণ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া দামও ভালো। কাঙ্ক্ষিত দামে ধান বিক্রি করতে পারায় খুশি কৃষকরা।

সম্প্রতি ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, হাওরজুড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব। চলছে মাড়াই, সংরক্ষণের মহাযজ্ঞ। কেউ ধান ভাঙছেন কেউ শুকাচ্ছেন কেউবা ধান মাড়াই করছেন।

কথা হয় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কৃষক হাফেজ আলমের সঙ্গে। চলতি বছর ১২ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন তিনি। সেই ফসল এখন বাতাসে দুলছে। ধান ভালো হওয়ায় হাফেজ আলমসহ তার পরিবার আগামী বছর সুন্দর সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।

হাফেজ আলম জাগো নিউজকে জানান, এবার প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ ধান হবে বলে আশা করছি। এই বছর ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাওরের প্রত্যেকটি কৃষক খুশি।

কেবল হাফেজ আলম নয় চলতি বছর সুনামগঞ্জের ১৩৭টি হাওরে চার লাখ কৃষক ৮৩ হাজার ৩শ ৬৯ হেক্টর আমন চাষ করেছেন। যা থেকে চাল হবে দুই লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। এর বাজার মূল্য প্রায় ৯২০ কোটি টাকা।

কৃষিতে আধুনিকতার ছোয়া লাগায় সুনামগঞ্জের প্রতিটি হাওরে চাষাবাদে যেমন সহজ ও কম সময় লাগছে, তেমনি আধুনিক হারভেস্টর মেশিনের সাহায্যে দ্রুত সময়ে সেই ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। এমনকি সময়ের পরিক্রমায় ধানের ভালো দাম পাওয়ায় হাওরজুড়ে বছর বছর বাড়ছে ধান উৎপাদন।

সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১ সালে আমন আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ১০০ হেক্টর। যা থেকে চাল উৎপাদন হয় দুই লাখ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৮৭৫ কোটি।

একইভাবে ২০২২ সালে ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়। সেখান থেকে ধান উৎপাদন হয় তিন লাখ আট হাজার মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৯০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত দুই বছরসহ চলতি বছর পর্যন্ত হাওরে চার শতাংশ ধান উৎপাদন বেড়েছে।

তবে হাওর পাড়ের কৃষকরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। কোনো ধরনের দুর্যোগ ছাড়াই মাঠের ধান গোলায় তুলতে পারছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জাগো নিউজকে বলেন, হাওরে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক খুশি। তারা আনন্দের সঙ্গে ধান ঘরে তুলছেন।

লিপসন আহমেদ/এনআইবি/এএসএম