মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় কান্নায় গড়াগড়ি খেলেন কৃষক আব্দুল
ইউপি নির্বাচনে তিনবার ফেল করার পর এমপি প্রার্থী হওয়া কৃষক আব্দুল আলী বেপারীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার।
এসময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্নাকাটি করেন আব্দুল আলী বেপারী। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সান্ত্বনা দেন এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলে পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা ভোটারের তালিকা সঠিক না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
কাঁদতে কাঁদতে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘এখন ভোটারদের মুখ দেখাবো কেমনে, আমি আর বাচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম (মারা যাবো)। আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবো। চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলী বেপারী পেশায় কৃষক। এর আগে তিনি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চালানো ও ইট-বালুর ব্যবসা করতেন। ভোট এলেই প্রার্থী হন তিনি। নির্বাচন এলে তার মাথা ঠিক থাকে না। এর আগে সিংজুরী ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই তিনি জামানাত হারিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিয়া জানান, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে একজন প্রার্থীকে তার পক্ষে এলাকার এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। আব্দুল আলী বেপারী স্বাক্ষর জমা দিলেও তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে ১০ ভোটার যাচাই বাছাই করতে গিয়ে আটজনই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। তিনি চাইলে এ বিষয়ে আপিল করতে পারেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে মোট ৩৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বি এম খোরশেদ/এএইচ/জিকেএস