ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১৭ থেকে এমপি দিদারের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫৫ কোটি

এম মাঈন উদ্দিন | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের দুবারের সংসদ সদস্য (এমপি) দিদারুল আলমের সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তার সম্পদ ছিল ১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার সম্পদ ছিল সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৫৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৪ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

এমপি দিদারুল আলম তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৬ টাকা, ব্যাংক আমানত এক কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ২৮৭ টাকা, পেশা থেকে আয় ৪০ হাজার টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে পেয়েছেন ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদ বাবদ নিজ নামে আট কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ছয় লাখ ৮৮ হাজার ১৪২ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের মধ্যে নিজ নামে ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৬৮ হাজার ৬০৪ টাকা দেখিয়েছেন দিদারুল আলম। বন্ড, ঋণপত্র, ও শেয়ার থেকে নিজ নামে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ১২৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।

সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ নামে চার কোটি ৮২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ টাকা, যানবাহন বাবদ এক কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, অলংকার বাবদ নিজ নামে দুই লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন দেড় লাখ টাকা।

ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বাবদ নিজ নামে পাঁচ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র বাবদ নিজ নামে পাঁচ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা, কৃষিজমি বাবদ নিজ নামে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা, অকৃষি জমি বাবদ চার কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৮৯৪ টাকা, দালান বাবদ ১৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৯ টাকা, বাড়ি বাবদ এক কোটি ২৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দেখিয়েছেন এমপি দিদারুল আলম। তাছাড়া অন্যান্য সম্পদ নিজ নামে মূল্য দেখিয়েছেন দুই কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৭০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৫২৭ টাকা।

তিনগুণ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাপ-দাদারা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হিসেবে আমার সম্পদ রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার সম্পদও বেড়েছে। কিন্তু ঠিক সমপরিমাণ ব্যাংক লোনও আছে আমার নামে।’

এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন দিদারুল আলম। কিন্তু একদিন পর শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচন করবো, না পেলে করবো না। ফলে মনোনয়ন জমা দিলেও আজ (শুক্রবার) নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। সুতরাং আমি নৌকার পক্ষেই কাজ করবো।’

রাজনীতি না করেও গত দুবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন দিদার। কিন্তু এলাকায় উন্নয়ন না করায় এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তার জায়গায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সদ্য পদত্যাগ করা এস এম আল মামুনকে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র জমাও দেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।

 

এসআর/জিকেএস