ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বছরে ভৌতিক জালে আটকে মারা যায় ১ লাখ ৩৬ হাজার সামুদ্রিক প্রাণী

উপজেলা প্রতিনিধি | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

‘ভৌতিক একটি রূপক শব্দ। একটি বৈধ জাল যখন মাছ শিকারে জেলেকে সহযোগিতা করছে তখন সে আমাদের বন্ধু অন্যদিকে যখন সেই জালের অংশ ছেঁড়া-ফাটা অংশ হয়ে সমুদ্রে ভেসে মাছ, কচ্ছপ, পাখিসহ সামুদ্রিক নানান প্রজাতি ধ্বংস করছে জেলের তত্ত্বাবধান ছাড়াই ক্ষতিগুলো হচ্ছে তাতে সুনীল অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই ছেঁড়া-ফাটা জাল বা ভৌতিক মৎস্য আহরণ। এটা ভীতিকর ব্যাপার। এটাকে না আটকাতে পারলে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য শিগগির ধ্বংস হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষার এক কর্মশালায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সাজেদুল হক উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টায় কুয়াকাটার একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

workshop-(5).jpg

কর্মশালায় এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশে (ইকোফিশ-২), ফিশারিজ গবেষক, ইউএনইপি, এফইউসহ বেশ কয়েকটি গবেষণা সংস্থার যৌথ গবেষণা প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। গবেষণার তথ্যমতে, ভৌতিক এ মৎস্য আহরণ মাছ ধরায় ব্যবহৃত বর্জ্য মোট সামুদ্রিক বর্জ্যের ১০ শতাংশ, পরিত্যক্ত জাল ৭০ শতাংশ ম্যাক্রোপ্লাস্টিক, যা মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়। ভৌতিক জালে বছরে এক লাখ ৩৬ হাজার সামুদ্রিক পাখি হাঙ্গর, কচ্ছপ, মাছ এবং অন্য প্রজাতি মারা যায়।

ভৌতিক মৎস্য আহরণ হ্রাস করে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে দিনব্যাপী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল হক, ইকোফিশ-২ এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জলিলুর রহমান, ওয়ার্ল্ডফিশ (ইকোফিশ-২) এর চিফ অফ পার্টি ড. মোকাররম হোসাইন। এছাড়াও পুলিশ, কোস্ট গার্ড, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা এতে অংশ নেন।

workshop-(5).jpg

ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জাগো নিউজকে বলেন, ভৌতিক বলতে পরিত্যক্ত, হারানো ও অব্যবহৃত জাল দ্বারা সামুদ্রিক প্রাণীদের ক্রমাগত ধ্বংসাত্মক চক্রকে বোঝানো হয়েছে। এ থেকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা উপকূলীয় জেলে মৎস্য ব্যবসায়ী এবং গবেষকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করেছি।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা ট্রলার মালিক এবং জেলেদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করার চেষ্টা করেছি। জেলেদের সচেতনতা আমাদের সামুদ্রিক সম্পদকে রক্ষা করবে। মাইক্রোপ্লাস্টিকে যে দূষণ ঘটছে সেজন্য মাঝি ও জেলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমুদ্রে ছেঁড়া-ফাটা জাল ফেলা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এনআইবি/এমএস