ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইসি হাবিব

সংসদ নির্বাচন হবে ব্যালটে তবে ইভিএমের মতো স্বচ্ছতা থাকবে না

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালটে হবে। তবে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো ব্যালটে স্বচ্ছতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রার্থীর এজেন্টরা স্বচ্ছতা নিশ্চিতেও কাজ করবে। তারা দেখবে যেন একজন অন্যজনের ভোট না দিতে পারে। তবেই প্রার্থী বা কারও অভিযোগ থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বেলেন।

ইসি হাবিব খান আরও বলেন, তবুও ইভিএম ছিল স্বচ্ছতার প্রতীক। আমার আস্থা আছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এটা চায় না, তারা বলে এটা জাদুর বাক্স। অথচ সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল পর্যবেক্ষণ করতাম আর ভোটার বোতাম টিপে তার পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারতো। তবে এখানেও কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হবে।

তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ এলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হুট করেই মাঠ প্রশাসনে আপাতত রদবদল হবে না। কারণ জেলার সব পথ, কেন্দ্র, জায়গা, পরিবেশ সবকিছুই প্রশাসনের জানা থাকে। তাই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে এবং তদন্তে সত্যতা মিললেই রদবদল ও আইনগত ব্যবস্থা।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল আছে সেখানে আচরণবিধিসহ সব বিষয় লিপিবদ্ধ আছে। এটাকে শতভাগ পালন করে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাই একমাত্র অধিনায়ক। তিনিই সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন। আমাদের আইনগুলো পরিবর্তন করেছি। অনেক টকশোতে মিষ্টি কথা আসে। যে আমাদের পায়ে আমরা কুড়াল মেরেছি। প্রতিটা আইনের মাধ্যমে জেল-জরিমানার বিধান রেখে আপনাদের সুরক্ষা করেছি। একটা নীতিমালা করেছি যাতে করে গণমাধ্যমকর্মীরা ভেতরে যেতে পারবেন, ছবি তুলবেন, বাইরে লাইভ করবেন।

তিনি আরও বলেন, পরিষ্কারভাবে এ সভায় বলে গেলাম কোনো ছাড় নেই অনিয়ম হলে। কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কোনো অসঙ্গতি দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেবে। এতেও নিয়ন্ত্রণ না হলে ওই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ থাকবে। সেখানে পরে পুনরায় ভোট নেওয়া হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসানসহ অন্য জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/জিকেএস