সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বরখাস্ত
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত ও জব্দ আলামত নষ্ট করার চেষ্টার ঘটনায় সাবেক উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এরআগে তাকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
বুধবার (২২ নভেম্বর) আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির তিন বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০টি খালি চালের বস্তা অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবনটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় সেই সিলগালা বাসভবনের জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ইকবাল মাহমুদ।
এ ঘটনায় ইকবাল মাহমুদকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়। এখন ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলো আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন বলেন, ভেদরগঞ্জের খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল তা তদন্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জেআইএম