ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে, ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট ভরবে না’

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩

অবরোধের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করেছি। যদিও মালিক নিষেধ করেছিল। বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে, সংসার চালাতে হয়। ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট ভরবে না। শুধু আমি না পেটের দায়ে আমার মতন অনেকেই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের চালক শুক্কুর আলী (২৯)।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম কড্ডার মোড় এলাকা থেকে রাজধানীর যাত্রী উঠানোর সময় চালকের আসনে বসে এ কথা গুলো বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে, বিএনপির ডাকা ষষ্ঠ দফার টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিনে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাস কম চলাচল করলেও মহাসড়কে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও লেগুনায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন: ফেনীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের গুলির অভিযোগ, আহত ১২

বাসচালক শওকত সেখ জাগো নিউজকে বলেন, অবরোধে যাত্রী অনেক কম। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

কড্ডার মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলচালক নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বাড়িতে বসে না থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। ঢাকায় একটা লোক নিয়ে যেতে পারলে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আবার আসার সময় একজন পেলে বেশ ভালই হয়।

‘বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে, ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট ভরবে না’

মাসুম এন্টার প্রাইজের যাত্রী সেফালী খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছেলে-বউ ঢাকার আব্দুল্লাহপুর বিল্ডিংয়ের কাজ করে। এ জন্য ঢাকায় যাচ্ছি, দুঃচিন্তায় ছিলাম অবরোধে বাস চলবে কিনা। এখন বাস পেয়ে ভালো লাগছে।

জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অবরোধে গাড়ি চালাতে চালকদের বলেছি। কিন্তু যাত্রী কম ও অনেক শ্রমিক ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছে না। তবে দূরপাল্লার কিছু বাস ঝুঁকি নিয়েও চলাচল করছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনে নাশকতার চেষ্টা

এদিকে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি সুলতান তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অবরোধেও গাড়ি চালাতে চালকদের বলেছি। কিন্তু অনেক মালিক ভয়ে গাড়ি চালাতে দিচ্ছেন না। যদি গাড়ির কোনো ক্ষতি হয়। এজন্য আমরাও চালানোর জন্য বেশি জোর করছি না। তারপরও কিছু বাস ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এম এ মালেক/জেএস/জেআইএম