ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
নিরাপদে আসতে পারেনি গভীর সমুদ্রে থাকা শতাধিক ট্রলার
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে বৃষ্টির শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রের মাছ ধরার ট্রলার তীরে ফিরছে। তবে হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকা অনেক ট্রলার এখনো নিরাপদ আশ্রয় ফিরতে পারেনি।
সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলের আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যার পরে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। পটুয়াখালীর দুটি বড় মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুরে সন্ধ্যার পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমুদ্রে অবস্থান করা অনেক ট্রলার ইতোমধ্যে বন্দরে চলে এসেছে। এখনো শতাধিক ট্রলার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে।
নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘূর্ণীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: দুপুরে উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে ‘মিধিলি’
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ রাজা জানান, ইতোমধ্যে যে বোটগুলো এখানে এসেছে সেগুলো পাথরঘাটা, চরদোয়ানী, তুষখালী, পিরোজপুরসহ বেশ কয়েক স্থানের। আবহাওয়া খারাপ হলে নিকটবর্তী স্থানে তারা চলে আসে। তবে যারা এখন তীরে আসেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দ্রুত তীরে ফিরে আসতে বলা হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার শেষ রাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিতে পারে। তাই পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস