ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কিশোরগঞ্জে জারি গানের আসরে মেতেছিলেন হাজারো দর্শক

এসকে রাসেল | প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বসেছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী জারি গানের আসর। সে আসর ঘিরে ছিল বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড়। জারি গানের দলের পৃষ্ঠপোষকতা দাবি এলাকাবাসীর।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া পুরান বাজারে এ জারি গানের আসর বসে। আসরটিতে পয়ার ছন্দে রচিত আখ্যানমূলক কারবালার পাঁচালি প্রদর্শন করে উপজেলার চরপলাশের জারি গানের দল।

আয়োজকরা জানান, গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির অন্যতম বিনোদনের নাম জারি গান। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসা এ বিনোদনকে ফিরিয়ে আনতেই এ আসরের আয়োজন। অনেক দিন পর হওয়া জারি গানের আসরে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো দর্শক। এতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগের শিশু কিশোররা জারি গানের আসর সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

আয়োজক কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান সুমন জানান, গ্রামেগঞ্জে যখন টেলিভিশন ও ইন্টারনেট ছিল না তখন জারি গানই ছিল বিনোদনের মাধ্যম। গ্রামে রাতে জারি-সারি, বাউল গানের আসর বসতো। এগুলোর মাধ্যমেই গ্রামগঞ্জের মানুষ বিনোদন পেতেন। যখন টেলিভিশন ও ইন্টারনেট চলে এলো তখন প্রাচীন এ বিনোদনগুলো হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া বিনোদনকে ফিরিয়ে আনতেই জারি গানের আসরের আয়োজন।

এলাকার প্রবীণ লেহাজ উদ্দিন রঙ্গু মাস্টার জানান, কারবালার স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা জারি গানের মাধ্যমে শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। দর্শকরা খুব আনন্দ পান। সরকারি বেসরকারি যেকোনোভাবে জারি গানের দলের পৃষ্ঠপোষকতা দাবি জানাই। তারা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবে।

গানের দলের অধিনায়ক আলী বয়াতি বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা চরপলাশ এলাকার স্থানীয়দের নিয়ে ৪২ সদস্যের জারি গানের দল। এ জারি গান পূর্ব পুরুষরা করে গেছেন। এটাকে ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দলের বেশিরভাগই নতুন ছেলে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করছি। নিয়মিতই শীত মৌসুমে জারি গানের আসরে আমার দলের ছেলেরা গান পরিবেশন করবে। এ বছর পাঁচটি আসরে আমার দল অংশ নিয়েছে। এটিকেই জারি গানের আদি নিদর্শন হিসেবে মনে করে নেচে-গেয়ে দর্শক শ্রোতা মাতিয়ে রাখি। আমাদের জারি গানের দলকে সরকারিভাবে সহায়তা করলে আরও ভালো করতে পারবো বলে আশা করছি।

এসকে রাসেল/এসজে/এএসএম