ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অবরোধ

স্থলবন্দরেই পড়ে থাকছে আমদানির পণ্য, খরচ নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

রবিউল হাসান | লালমনিরহাট | প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দফায় দফায় অবরোধে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। একদিকে অবরোধ অপরদিকে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকটে ভুগছে বন্দরটি। ট্রাক চলাচল করতে না পারায় ভারত, ভুটান, নেপাল থেকে আমদানি করা বিভিন্ন মালামাল পড়ে আছে বন্দরে।

সরেজমিনে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ২০০-৩০০ ট্রাক স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে। কিন্তু অবরোধের কারণে বাংলাদেশে ট্রাক ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। ফলে আমদানি করা বিভিন্ন মালামাল স্থলবন্দরে পড়ে আছে। এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অপরদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক কাজ না পেয়ে বেকার পড়ে আছেন।

জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনটি দিয়ে পাথর আমদানি হয় অধিক। কয়েক দফার অবরোধ, ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করায় এবং এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ না থাকায় রাজস্ব আয় কমে গেছে।

ভুট্টা, গম, ডলোচুন, ভুসি, খৈল, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভারত থেকে আগের মতো আসছে ট্রাক। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় বেশিরভাগ মালামাল বিভিন্ন গোডাউনে পড়ে আছে। অপরদিকে আমদানি হওয়া এসব পণ্য দেশের অভ্যন্তরে পরিবহনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

অবরোধ, দেশে পরিবহন খরচ ও ডলারের মূল্য বাড়ায় আমদানি খরচও বেড়েছে। মালামাল লোড-আনলোডের কাজ না থাকয় বেকার হয়ে পড়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দর হাজারও শ্রমিক।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট সভাপতি আবু সাইদ জাগো নিউজকে বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল। হঠাৎ অবরোধে ঢাকা, পাবনাসহ বিভিন্ন রুটের ট্রাক চলাচল করছে না। ফলে আমদানিকারকরা আসতে না পারায় ব্যবসার লাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে ট্রাক ভাড়া বেশি। দূরপাল্লার কোনো ট্রাক যেতে চাচ্ছে না।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিনের অবরোধে বুড়িমারী স্থলবন্দরের অনেক শ্রমিক কাজ না পেয়ে বাড়িতে বসে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেশের অবরোধ মানে শ্রমিকদের কষ্ট।

ট্রাকচালক বাবলু মিয়া বলেন, অবরোধের কারণে কোনো ভাড়া পাইনি। ১০দিন ধরে গাড়ি বসা। এ অবরোধে গাড়ি বের করতে সাহস পাই না। সবমিলে ট্রাকচালকরা খুব কষ্টে আছি।

বুড়িমারী স্থল বন্দরের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলিম জাগো নিউজকে বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরের চলতি বছরের অক্টোবরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। ১ নভেম্বর থেকে ১৪ নেভেম্বর রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। অবরোধের প্রভাব ও রাজস্ব আয় কমার বিষয়টি এখনো আমরা বুঝতে পারিনি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, চলমান অবরোধে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। স্থলবন্দরের সবকিছুর সচল রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তা করছি। পণ্যগুলো নির্বিঘ্নে খালাসের জন্য প্রশাসনকে বলা আছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

এসজে/এএসএম