‘শীত মৌসুমই আমাদের জন্য চাঁদ রাত’
ঋতুর আগেই দিনাজপুরে বইছে শীতের আমেজ। জেলায় দিন দিন শীত বাড়ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শীতের পোশাকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে বেশিরভাগ ক্রেতাই ফুটপাতের দোকানেই ঝুঁকছেন। হরদম বেচাকেনাও হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় দাম বাড়তি। বিক্রি বাড়ায় খুশি দোকানিরাও।
শুক্র (১০ নভেম্বর) ও শনিবার (১১ নভেম্বর) ছুটির দিন দিনাজপুরের কাচারি রোড, গোড়-এ শহীদ বড় ময়দান, লিলির মোড়, জেল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- রাস্তার উভয়পাশের ফুটপাতে বাহারি শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে ওইসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
শিশুদের বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মোজা, মাফলার, ট্রাউজার, ফুলহাতা হাইগলার গেঞ্জি ও হুডিসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক মিলছে এসব ফুটপাতে। সাইজ অনুযায়ী দামও আলাদা। এক-দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা দামের পোশাক মিলছে এসব দোকানে। তবে হাত মোজা, কানটুপি ও ছোটখাট শীতের পোশাক মিলছে ৫০-১০০ টাকার ভেতরেই।
কাচারি মোড়ের পাশের ফুটপাতে বাচ্চাদের ফুলহাতা গেঞ্জি ও পাজামা বিক্রি করছিলেন বাবু মিয়া। তিনি বলেন, কয়েকদিন হলো শীত নামতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ছোটদের শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ক্রেতাদের ভিড় ও বেচাবিক্রি বেড়েছে। আমাদের তো ঈদ উপলক্ষে তেমন বেচাকেনা হয় না। কিন্তু শীতের মৌসুমই হলো আমাদের জন্য চাঁদ রাত। হালকা শীতের পোশাক কিনতে ফুটপাতেই ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেচাকেনা অনেক ভালো।
ফুটপাতের ক্রেতা সালমা বেগম বলেন, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের ক্রয়সীমায় মোটামুটি সবরকম পোশাকেই ফুটপাতে পাওয়া যায়। শপিংমলগুলোতে কেনাকাটার চেয়ে ফুটপাতে কেনাকাটা সাশ্রয়ী। এছাড়া আমরা গরীব মানুষ। বেশি দামে পোশাক কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই।
আরেক ক্রেতা সজল রায় বলেন, শীত সবে শুরু। আমরা স্বামী-স্ত্রী আমাদের এক বছর বয়সের প্রথম সন্তান সজিব রায়ের জন্য হাত আর পায়ের মোজা ও গেঞ্জি কেনার জন্য কাচারি রোর্ডে এসেছি। ফুটপাতে রাস্তার ধারে দোকানগুলোতে শিশুদের সব ধরনের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। দামও সাধ্যের মধ্যে।
লিলির মোড়ে কয়েকজন শিশুদের শীতের কাপড় নিয়ে বসেন। এদের মধ্যে মকবুল নামে একজন বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে এ মোড়ে দোকানপাট বন্ধ। তাই ফুটপাতে বসেছি। শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি ভালো।
এসজে/এএসএম