ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে ট্রাকে আগুন-গাড়ি ভাঙচুর, আটক ৮৪

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে নোয়াখালীতে একটি ট্রাকে আগুন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৮৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অবিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে হরতালের সমর্থনে জেলা শহর মাইজদীর রশিদকলনি, সোনাইমুড়ী-চৌমুহনী সড়কের বিভিন্ন স্থানে, চৌমুহনী নাপিতের পোলসহ কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা করে হরতাল সমর্থকরা ।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল, আটক ৮

শনিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জে মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় হরতাল সমর্থনকারীরা দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে রোববার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল বিরোধী মিছিল হয়েছে কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

মাইজদীর রশিদ কলোনি এলাকায় ভোর ৫টার দিকে টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা করে একদল যুবক, পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এছাড়া ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চৌমুহনী নাপিতের পোল এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ করে হরতাল সমর্থকরা। খবর পেয়ে পুলিশের একটি মোবাইল টিম গিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করে।

এরআগে রোববার ভোরে ফেনী থেকে বালুবাহী একটি ট্রাক চৌমুহনী বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রাকটি সেনবাগের সেবারহাট পশ্চিম বাজারে পৌঁছলে সেটির গতিরোধ করে তাতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে গাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে যায়, তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সেনবাগ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারিসহ ১৪জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার আর নেই

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্যমতে, হরতালকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নাশকতা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সদর থানায় সাতজন, হাতিয়ায় একজন, কোম্পানিগঞ্জে ছয়জন, বেগমগঞ্জ ১৭ জন, সেনবাগে ১৪ জন, চাটখিল চারজন, সোনাইমুড়ী ২১ জন, চরজব্বর থানায় ছয়জন ও গোয়েন্দা পুলিশ আটজনকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা রয়েছে এবং বাকিদের নাশকতার চেষ্টা ও পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিএনপি-জামায়াতের ৮৪ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বত্র অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাস ভাঙচুর-ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

রোববার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করলেও প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভোর থেকে সড়কে যান চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বাড়ছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের উপস্থিতি ও টহল লক্ষ করা গেছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/জেএস/এএসএম