বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
২০ দিন ধরে বন্ধ ‘কোর সাফারি’, হতাশ দর্শনার্থীরা
ভারি বর্ষণে ধসে পড়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বিভিন্ন প্রাণীর মুক্ত বিচরণ ক্ষেত্রের দেওয়াল। আর তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘কোর সাফারি’ অংশে ভ্রমণ। পার্কের কোর সাফারি ফটকে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বন্ধের নোটিশ। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন পূজার ছুটিতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা।
জানা যায়, ৫ অক্টোবরের ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে কোর সাফারি অংশের দেওয়াল। তাই সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ‘কোর সাফারি’ অংশে ভ্রমণ। তবে পার্কের বাকি অংশ যথারীতি চালু রয়েছে। সাফারি পার্কের মূল আকর্ষণ ‘কোর সাফারি’ বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীরা বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ, জেব্রাসহ অনেক আকর্ষণীয় প্রাণী দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মা হাতির ফেলে যাওয়া শাবকের ঠাঁই হলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৫ অক্টোবর সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ওই রাতের ঝড় ও বৃষ্টিতে কোর সাফারিতে থাকা হিংস্র প্রাণীদের যে বেষ্টনী (ইটের দেয়াল) ছিল এর কয়েক জায়গা ধসে পরে। এ অবস্থায় বেষ্টনীতে দর্শনার্থীদের জন্য প্রাণী ছেড়ে দিলে লোকালয়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ অক্টোবর থেকে সাফারি পার্কের ‘কোর সাফারি’ অংশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভেতরের বেষ্টনীগুলো সংস্কারের কাজ চলছে, সংস্কার কাজ শেষে ‘কোর সাফারি’ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে নাগাদ চালু হতে পারে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারী বৃষ্টির কারণে কোর সাফারি পার্কে র দেওয়ার ধসে পড়েছে। এতে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কোর সাফারি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে উদ্ধার মুখপোড়া হনুমান সাফারি পার্কে হস্তান্তর
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভাঙা দেওয়াল দিয়ে প্রাণীগুলো ভেসে লোকালয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গাছ দিয়ে কোনো রকম ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। প্রাণীগুলোর যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমাদের পার্কের স্টাফরা সারারাত জেগে পাহারা দিয়েছেন। বাঘ সিংহের বেষ্টনী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে ‘কোর সাফারি’ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ‘কোর সাফারি’ চালু করা যাবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/জেএস/এএসএম