ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঘূর্ণিঝড় হামুন’র প্রভাব নেই মোংলা বন্দর ও সাগর-সুন্দরবন উপকূলে

আবু হোসাইন সুমন | মোংলা | প্রকাশিত: ০১:০৬ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর কোনো প্রভাবই পড়েনি মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সমুদ্র ও সুন্দরবন উপকূলে। মঙ্গলবার ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর এক ফোঁটা বৃষ্টিও ঝরেনি এ এলাকায়। সকাল থেকে মেঘলা ও কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বদলে যায় সেই চিত্র। দুপুরের পর থেকে ফাঁকে ফাঁকে আকাশে দেখা মেলে সূর্যের। এরপর বিকেল গড়াতেই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করে।

ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পরপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি মোংলা এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের স্থলভাগে হানা ও অতিক্রমকালে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তা মুলত পরিলক্ষিত হয়নি মোংলার উপকূলে।

সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এখানকার আবহাওয়া অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। দুপুরে জোয়ারে নদীর পানিও ছিল স্বাভাবিক, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাড়েনি পানিও।

যদিও জ্বলোচ্ছাসের পূর্বাভাস ছিলও আবহাওয়া অফিসের। ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের ফলে সাধারণত আবহাওয়া যতটা বৈরী হয়ে ওঠার আশংকা ছিল তার কোনো কিছুই হয়নি। ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন বিভাগ) ক্যাপ্টেন আসাদুজ্জামান বলেন, ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব এলার্ট-১জারি করা হয়। এছাড়া বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত ও চলাচলকারী সকল নৌযানগুলোকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী এলার্ট জারিসহ বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা কিংবা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে কোনো দিন ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বৃষ্টি-বাতাসহীন ঘূণিঝড় দেখেনি এ এলাকার মানুষ। সাধারণত ৩ নম্বর সিগনালেই বেশ ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন এ উপকূলে। তবে মঙ্গলবারের হামুনের প্রভাবের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোনো ভাবেই বোঝা যাচ্ছিল না যে এ এলাকায় হামুনের প্রভাবে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে। এমন বিপদ সংকেতের মধ্যেও কোনো প্রভাব পড়েনি জনমনে। লোকজনকে দেখা গেছে যে যার মত স্বাভাবিক কাজ কর্মে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৬টি মেডিকেল টিম, ১৩৬০জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুতসহ প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি মোংলার উপকূলে আসছে না, তারপরও যে কোনো সময় বাতাস-বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে এ এলাকার ওপর দিয়ে।

আবু হোসাইন সুমন/এমআইএইচএস