ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বৈরী আবহাওয়া, সেন্টমার্টিন ছেড়েছেন ১৪০০ পর্যটক

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে সবধরনের নৌযান চলাচল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

এ নির্দেশনা পেয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া এক হাজার ৪০০ পর্যটক সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলেই দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।

ইউএনও বলেন, গভীর সাগরের লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থেকে পর্যটকবাহী সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ, স্পিডবোট, কাঠের বোট বা যেকোনো নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেন কোনো পর্যটক আটকা না পড়েন সেজন্য দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকদের দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ আদেশের পর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ ও বিচ কর্মীদের মাধ্যমে মাইকিং করে দ্বীপের সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ত্যাগের নির্দেশ, কাল থেকে চলবে না নৌযান

ইউএনও আরও বলেন, ‘সন্ধ্যায় এক হাজার ৪০০ পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ ও বারো আউলিয়া জাহাজ নিরাপদে টেকনাফ ঘাটে পৌঁছেছে। শখানেক পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রয়ে যান বলে খবর পেয়েছি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, হঠাৎ সাগর উত্তাল হওয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। এ কারণে মঙ্গলবার থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এখনো কিছু সংখ্যক পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে অবস্থান করছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশ মেঘে ঢাকা রয়েছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার জেলায় যন্ত্রচালিত মাছ ধরা নৌকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় মাছ ধরা নৌকাগুলো ডাঙায় রাখা আছে। এ কারণে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে সাগরে মাছ ধরা নৌযানের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। এরপর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দুবার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরআগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাতদিনের জন্য ‘এমভি বারো আওলিয়া’ নামের একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে এ নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে পর্যাক্রমে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম