বৃদ্ধ বয়সে যুবক পরিচয়ে ঘুরছেন আমিনুর রহমান
৭৩ বছরের বৃদ্ধ আমিনুর রহমান ৩৬ বছর বয়সের যুবকের পরিচয় নিয়ে ঘুরছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক আমিনুর রহমান। জন্ম তারিখ সংশোধনে তিন বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুরলেও এখনো সংশোধন করতে পারেননি তিনি।
ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত সনে আলীর ছেলে।
আমিনুর রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ২৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল। কিন্তু তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৮ মার্চ ১৯৫০ সাল। ভুলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে ২৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল লেখা হয়েছে। সে অনুযায়ী তার বয়স মাত্র ৩৬ বছর। জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিতসহ জমি ক্রয়-বিক্রয়ও করতে পারছেন না তিনি।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আমিনুর রহমান প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।
ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়সটা বাড়ানোর জন্য হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট শহর পর্যন্ত ঘুরেছি, কিন্তু সংশোধন করতে পারিনি। ভোটার আইডি কার্ডের জন্য জমি কিনতেও পারছি না, বিক্রি করতেও পারছি না। অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি। তাই আমি সরকারের কাছে মিনতি করছি আমার জন্ম তারিখটা যেন সংশোধন হয়।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, আমিনুর রহমান অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে হিসেবে জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে সব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে। তার জন্ম তারিখ সংশোধন হলে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।
এদিকে হাতীবান্ধা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সেই অনুযায়ী রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে আসলে তাকে পাওয়া যায়নি। এজন্য তার আবেদনপত্রে অনুপস্থিত লেখা হয়েছে। হাতীবান্ধা নির্বাচন অফিসে তার কোনো কাজ নেই। জন্ম সাল সংশোধন করতে হলে বিভাগীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির সরকার জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন ভুল হতে পারে। বয়স সংশোধনের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে গেলে এটি সংশোধন হয়ে যাবে।
এফএ/এমএস