ননদ ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
ভোলায় ঘুমন্ত অবস্থায় পারভিন বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে ওই গ্রামের পাঠান বাড়িতে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের পশ্চিম দিদারুলা গ্রামের মো. আব্দুল কামালের স্ত্রী ও তিন সন্তানের মা।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামীর ৮ মাস বয়সে শ্বশুর মারা গেলে শাশুড়ি বাড়ির পাশে আব্দুল খালেক নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। প্রায় ২৩ বছর আগে তার (গৃহবধূর) বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের মা। তার স্বামী চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি ব্যাংকে নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরের সঙ্গে ভালোভাবেই সংসার চলে আসছিল তার। প্রায় ৮ বছর আগে তার ননদ ফরিদা বেগম সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর বিভিন্ন কারণে ননদের সঙ্গে ঝগড়া ঝামেলা চলে আসছিল। পরবর্তীতে ননদের পক্ষ নিয়ে শ্বশুরও তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন।
গতকাল বুধবার সকাল ও সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া নিয়ে ননদ ও শ্বশুরের সঙ্গে তার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এ সময় তারা দুজনই বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। পরে রাতে তিনি তার দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে এক খাটে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে হঠাৎ তার কাঁধ জ্বলতে শুরু করলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার দাবি ননদ ফরিদা বেগম ও শ্বশুর আব্দুল খালেক তাকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে এটিকে অ্যাসিড বলেই ধারণা করছেন চিকিৎসক। পরবর্তীতে আরও পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মনির হোসেন।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, বিষটি শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। ওই গৃহবধূর শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/জেআইএম