সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আমরা আগের মতো আর ভোট করতে দেবো না। যেদিন আমরা এ জালিম সরকারের পতন ঘটাতে পারবো সেদিন এ রোডমার্চের সমাপ্তি হবে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। মাগুরা ঘুরে বিকেলে যশোর শহরের মুড়লি মোড়ে পৌঁছায়। মুড়লিতে পথসভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল বলেছে, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হলেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা ও লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির আন্দোলন হবে ডু আর ডাই। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করতে চাই। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। জনগণ যদি মুক্ত হয়, খালেদা জিয়াও মুক্ত হবেন। গণতন্ত্র মুক্ত না হলে খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আপনাদের সময় শেষ। জনগণ রাজপথে নেমেছে। পালানোর সময় পাবেন না। ভালোই ভালোই মুক্তি দেন। তা নাহলে জেলখানা ভেঙে বাংলার মানুষ বাংলার নেত্রীকে মুক্ত করবে। এটাই প্রথম, এটাই শেষ দাবি।’
পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও মিজানুর রহমান খান।
এরআগে সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয় এ রোডমার্চ। এরপর মাগুরা-যশোর সড়কের শেখপাড়া মসজিদের সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পথসভায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
যশোর শহরের মুড়লি ও অভয়নগরে পথসভা করে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে রোডমার্চ। কয়েক হাজার পিকআপ, ট্রাক ও বাস ছাড়াও শতাধিক মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল নিয়ে ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রোডমার্চটি খুলনার শিববাড়ী মোড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সেখানে জনসভায় নেতারা ভাষণ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রোডমার্চ শেষ করবেন।
মিলন রহমান/এসআর/এএসএম