ফরিদপুর
শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ, সংকটাপন্ন ডেঙ্গুরোগী
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগে চিকিৎসাধীন ঝর্ণা খাতুন (২৩) নামের এক রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। স্যালাইন পুশ করার পর রোগীর শরীরে খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই রোগীর স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ঝর্ণা খাতুন বোয়ালমারী পৌরসভার লোকনাথ গ্রামের সুলতান শেখের মেয়ে।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ডেঙ্গু আক্রান্ত ঝর্ণা খাতুন। এসময় হাসপাতালের সার্জন ডা. সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে স্যালাইন দেন। স্যালাইন পুশ করার পর রোগীর শরীরে খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এভাবে তার শরীরে দুই ব্যাগ স্যালাইন পুশ করার পর দেখা যায়, স্যালাইনের মেয়াদ নেই। হাসপাতাল থেকে দেওয়া স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। একটি স্যালাইনের প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ৬ জুন ২০২৩ লেখা রয়েছে।
রোগীর স্বজন বিল্লাল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ভাতিজি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার স্যালাইন দেন। কিন্তু স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা শরীরে পুশ করার পর চোখ-মুখ উল্টিয়ে যায় যায় অবস্থা হয়। এখনো সে খুবই অসুস্থ।’
রোগীর বাবা সুলতান শেখ বলেন, ‘আমার মেয়ে এখনো খুব অসুস্থ। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কী হয় বলা যায় না। এ বিষয়ে আমি হাসপাতালের কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নম্বর সঠিক নয় বলে জানায়। পরে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এম নাহিদ আল রাকিবের সঙ্গে মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করা উচিত হয়নি। এটা অন্যায়, গাফিলতি। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম