ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মোংলায় এটিএম বুথে মিলবে সুপেয় পানি

উপজেলা প্রতিনিধি | মোংলা (বাগেরহাট) | প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লবণ অধ্যুষিত উপকূল মোংলায় বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য হাহাকার দীর্ঘদিনের। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে যেন তা সোনার হরিণ। দূর-দূরান্ত থেকে মিষ্টি পানি এনে জীবন বাঁচানোও যেন রীতিমতো যুদ্ধ। সেই অসহনীয় দুর্ভোগের কিছুটা মুক্তি মিলবে এবার। তাদের জন্য অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে এটিএম বুথে পাঁচ টাকার কয়েন দিলেই পাওয়া যাবে ২০ লিটার সুপেয় পানি।

এক টাকার কয়েনে চার লিটার, আর দুই টাকার কয়েনে আট লিটার মিষ্টি পানির এ ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।

jagonews24

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এসব এটিএম সেবা উদ্ধোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুক আব্দুল খালেক। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিআইএফপিসিএলের প্রধান মহাব্যবস্থাপক শান্তনু কুমার মিশ্র, মহাব্যবস্থাপক মঙ্গলা হারির্নান, উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম, ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় অতিথিরা।

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় একটি, উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে চারটি এবং রামপাল উপজেলার হুড়কা, গৌরম্ভা ও রাজনগর ইউনিয়নে ছয়টি মিলে মোট ১১টি স্থানের মধ্যে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে তিনটি, রাজনগরে দুটি ও গৌরম্ভা ইউনিয়নে দুটি স্থানে এখানকার বাসিন্দারা এটিএম বুথের মাধ্যমে সুপেয় পানি পাবেন। বাকি এলাকার বাসিন্দারা পাবেন রিভার অসমোসিস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে।

jagonews24

দুই কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির এসব প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম বলেন, সুপেয় পানি এ এলাকার একটি প্রধান সমস্যা। সমস্যা নিরসনে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এখানকার কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

সুপেয় পানির সুব্যবস্থা পেয়ে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা করিম ফকির, নারায়ণ বিশ্বাস ও বিজলি সরকার বলেন, ‘আমাদের যে উপকার হলো, তা বলে বুঝাতো পারবো না। এতদিন খালের লোনা পানি ফিটকিরি দিয়ে ও দূর-দূরান্ত থেকে খাবার পানি এনে জীবন বাঁচিয়েছি। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

আবু হোসাইন সুমন/এসআর/জিকেএস