সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১০ পদে কর্মরত ৩, কেউই আসেন না নিয়মিত
পাবনার সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত তিন জুনিয়র কনসালট্যান্টের কেউই নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন না। তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন আসেন বলে জানা গেছে। এ অবস্থা চলছে গত ৯-১০ মাস ধরে। এর ফলে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
জানা গেছে, ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সুজানগর উপজেলা। ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ২০০২ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০ জন জুনিয়র কনসালট্যান্টের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
তারা হলেন ডা. গালিবা তাসনিম, ডা. সেলিম রেজা ও ডা. মরিয়ম জামিলা। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) সেলিম রেজা ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) ডা. গালিবা তাসনিম এবং গত বছরের ২০ ডিসেম্বর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি অ্যান্ড অবস) ডা. মরিয়ম জামিলা যোগদান করেন। এর মধ্যে ডা. মরিয়ম ও ডা. সেলিম বগুড়া এবং ডা. গালিবা পাবনা শহরে অবস্থান করেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে অবস্থান করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশনা অমান্য করে সপ্তাহের দুই-তিনদিন এসে হাজিরা খাতায় পুরো সপ্তাহের সই করেন তারা। এরপর কিছু সময় হাসপাতালে অবস্থান করে চলে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় চলছে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
এভাবে দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবাবঞ্চিত রোগী ও তাদের স্বজনরা। সুজানগর পৌরসভার চরভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা নুরু হোসেন বলেন, সচ্ছল ব্যক্তিরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা নিতে পারেন। তবে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি হাসপাতালই একমাত্র ভরসা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মরিয়ম জামিলা ও ডা. সেলিম রেজা বললেন, তারা এখন থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে রোগীদের সেবা দেবেন।
আরও পড়ুন: অব্যবস্থাপনায় ভরা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সানজিদা মুজিব বলেন, আমি ওই তিন জুনিয়র কনসালট্যান্টকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন কর্মস্থলে আসার কথা বলেছি। এবং যেদিন আসবে না সেদিন হাজিরা খাতায় সই না করার কথাও জানিয়েছি। এছাড়া নিয়মিত কর্মস্থলে না আসার কারণে ওই তিন চিকিৎসককে সম্প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, আমি জেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এমআরআর/জেআইএম