ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ডাকাতির ফোন স্ত্রীকে উপহার, অতঃপর...

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডাকাতি করে স্ত্রীকে মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের এক সদস্য। আর সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই ৬ মাস পর ওই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকায় ও শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতির এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানিয়েছেন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান এসপি।

গ্রেফতাররা হলেন- শিবচর থানা এলাকার যদুয়ার চর গ্রামের মৃত ইয়াছিন বেপারীর ছেলে আ. সালাম বেপারী (৪২), মারফত আলীর ছেলে সোহেল সরদার (৩০), মৃত হাতের আলীর ছেলে রুবেল আকন (৪০) ও লিয়াকত খানের ছেলে পাভেল খান (৩২)। এরা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিলেন। এদের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসাগাড়ি এলাকার ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে একটি ডাকাতির ঘটনার মামলায় তারা গ্রেফতার হন। ওইদিন ফিল্মি স্টাইলে মোটরসাইকেল দিয়ে একটি পিকআপের গতিরোধ করে সোহেল খান নামে এক পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও একটি এমআই-১১ ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত চলে যায় চক্রটি। ওই ব্যবসায়ী মুরগি কেনার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় পিকআপ চালক নুরুস খাঁ বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় আমরা কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিলাম না। এপ্রিল মাসের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। মোটরসাইকেলে ডাকাতির ঘটনায় ভেবেছিলাম ওই এলাকার কেউ না কেউ জড়িত। কিন্তু আমরা যখন ব্যর্থ হলাম তখন ডাকাতি হওয়া মোবাইলটি নিয়ে কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, ওই মোবাইলের সূত্র ধরেই গত কয়েকদিন আগে আমরা শিবচর থানা এলাকায় সালাম বেপারীকে শনাক্ত করি। তার স্ত্রী মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছিলেন। তার স্ত্রী জানান মোবাইলটি তার স্বামী দিয়েছেন। তখন আমরা সালাম বেপারীকে গ্রেফতার করি এবং তিনি ঘটনাটি স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে সোহেলকে গ্রেফতার করি।

তারা স্বীকারোক্তিতে জানান, ওই ঘটনায় তারা পাঁচজন জড়িত ছিলেন। তাদের দেওয়া তথ্যে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও পাভেলকে গ্রেফতার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, গ্রেফতারদের আজ কোর্টে পাঠানো হবে এবং রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এছাড়া আরও একজনকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইমদাদ হুসাইন, কোতয়ালি থানার ওসি এম.এ. জলিল ও নগরকান্দা থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন প্রমুখ।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম