সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে এলেন মালিক, থাকবেন একমাস
কুমিল্লার বরুড়ায় সৌদি আরবের কফিলকে (মালিক) সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরলেন আবুল কাশেম খান নামের এক প্রবাসী। ওই সৌদি নাগরিক দেশে একমাস থাকবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের মুগগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আবতরণ করেন তারা। এসময় সৌদি নাগরিক আসার খবরে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
আবুল কাশেম উপজেলার শৈলখালী গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের জুবাইল শহরে চাকরি করেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, সৌদিতে চাকরির সুবাদে কফিল আব্দুল বাতেনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সৌদি আরব থেকে তারা দুজন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে করে বরুড়া মুগগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তারা।
এরআগে সৌদি নাগরিক ও হেলিকপ্টার আসার খবরে স্কুল মাঠে জমায়েত হন শত শত উৎসুক জনতা। স্থানীয়রা ফুলের মালা দিয়ে প্রবাসী আবুল কাশেম ও তার কফিলকে বরণ করে নেন। পরে সেখান থেকে শৈলখালীর নিজ বাড়িতে মালিককে নিয়ে যান আবুল কাশেম খান।
এসময় ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল মাসুদ, ইউপি মেম্বার সালামত উল্ল্যাহ, ভাউকসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, প্রবাসী জামাল হোসেন, আজাদ রহমান, ছাত্রনেতা আবু আসলাম নিশাতসহ শৈলখালী, মুগগাঁও ও চৌত্তাপুকুরিয়া গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী আবুল কাশেম খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার কফিল একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করেন। যে কারণে আমার পক্ষ থেকে কফিলকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি সাদরে গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের দেশে একমাস অবস্থান করবেন। এসময়ে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন। পরে একসঙ্গে আমরা দুজন সৌদি ফিরে যাবো।’
ওই সৌদি নাগরিকের নাম আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার পছন্দ। এর আগেও একাধিকবার এসেছি। তবে বরুড়ায় প্রথম এলাম। বাংলাদেশের মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আশা আছে, এবার দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবো।’
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম