রাজবাড়ীতে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান
‘মামলা জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে’
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সারাদেশের আদালতগুলোতে বর্তমানে ৪১ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই বিশাল মামলার জট কমাতে হলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। এর মাধ্যমেই মামলার জট কমাতে হবে। কারণ নিম্ন আদালতে একটি মামলা নিষ্পত্তির পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন স্তরে আপিল করে থাকে। ফলে ওই মামলা একটি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পরও পুনরায় অন্য একটি আদালতে স্থানান্তরিত হয়। এভাবে মামলা দীর্ঘদিন চলতে থাকে। অথচ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হলে একবারেই ওই মামলাটি শেষ হয়। ফলে আপিল করার প্রয়োজন হয় না। এতে আপনাআপনি মামলার সংখ্যা কমে আসবে। এছাড়া নতুন মামলাও স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজবাড়ী সফররত সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা বিচারক ও আইনজীবীদের জন্য একটি পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব যার যার অবস্থান থেকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারক এবং আইনজীবীদের একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ বিচারক ও আইনজীবীরা হচ্ছেন একটি পাখির দুইটি ডানা। উভয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই কেবলমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোছাম্মৎ জাকিয়া পারভীন, রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) সাব্বির ফয়েজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মাহবুবুর রহমান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর উজির আলী সেখ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আনিছুর রহমান, রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান মো. জহুরুল হক, আশরাফুল হাসান আশা, সাবেক সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ, শফিকুল আজম মামুন, সাবেক সম্পাদক কাজী আব্দুল বারী, খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু, এডিশনাল পিপি আবু বকর, সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ মনোয়ারুল হক, সাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এছাড়া সভায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) জান্নাতুন লিলিফা আক্তার জাহান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত সৈয়দ সিরাজ জিন্নাত, রাজবাড়ীর যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহমুদুল হক, যুগ্ম জেলা জজ (দ্বিতীয় আদালত) মো. শাহিনূর রহমান, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) এমদাদুল হক, রাজবাড়ীর সদর সিনিয়র সহকারী জজ মো. সাইফুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী জজ নাজনীন সুলতানা, সিনিয়র সহকারী জজ মো. মিলন আলী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুধাংশু শেখর রায়, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী সাহা, মো. ইকবাল হোসেনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (২)।
রুবেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম