রূপালী ব্যাংকের ৮৪ কোটি টাকা গরমিল, দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত
৮৪ কোটি টাকা গরমিলের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে রূপালী ব্যাংক খুলনার দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের ডিএমডি কাজী আব্দুর রহমান ওই দুই কর্মকর্তার বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তরা হলেন- ব্যাংকের ডিজিএম জাকির ইবনে বোরাক এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেন।
ডিএমডি কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ওই দুই কর্মকর্তার যোগসাজসে রূপালী ব্যাংক খুলনার সামস বিল্ডিং শাখায় ভুয়া এলসি খুলে ৮৪ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রূপালী ব্যাংক খুলনার স্যার ইকবাল রোডের সামস বিল্ডিং শাখার ডিজিএম বিলকিস বেগম জানান, ব্যাংকের বৈদেশিক শাখায় আর্থিক গরমিল ধরা পড়ার পর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে সাত সদস্যের একটি টিম তদন্ত করে। তদন্তের পর কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং সিইও জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মেসার্স বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট লিমিটেড এবং মেসার্স প্রিয়াম ফিস এক্সপোর্ট লিমিটেডসহ চারটি কোম্পানির এলসি/বিলের মাধ্যমে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। এই কাজে সহায়তার জন্য এই শাখার সাবেক ডিজিএম জাকির ইবনে বোরাক এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রূপালী ব্যাংক সামস বিল্ডিং শাখার মাধ্যমে প্রিয়ম ফিস এক্সপোর্ট লি. এবং বায়োনিক ফিস এক্সপোর্ট লি. প্রতি বছর ১৬০ থেকে ১৮০ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি করে।
এ ব্যাপারে প্রিয়াম ফিস এক্সপোর্ট লি. এর মালিক শেখ মো. আব্দুল কাদের জানান, ব্যাংকের সঙ্গে আমার লেনদেন ঠিক হয়ে গেছে। শিপমেন্টে দেরি হওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা ঠিক হয়ে গেছে। আমাদের লেনদেন স্বাভাবিক রয়েছে।
রূপালী ব্যাংক খুলনার জেনারেল ম্যানেজার তাজউদ্দিন জানান, ডিজিএম জাকির ইবনে বোরাক এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ব্যাংক টাকা আদায়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস