ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জরাজীর্ণ পোস্ট অফিস

গরমেও ফ্যান চালাই না, কখন যে ভেঙে পড়ে

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পোস্ট অফিস ভবনটি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শঙ্কা নিয়েই বাধ্য হয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

খানসামা পোস্ট অফিস ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে কখনো মাথার উপর কখনো যন্ত্রপাতির ওপর খুলে পড়ছে পলেস্তারা। দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে পোস্ট অফিসের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অফিসের ভেতরে ভবনটির জীর্ণদশা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবে। ছাদ নির্মাণের যে রডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে পলেস্তারা খুলে পড়ে সেগুলো সব দেখা যাচ্ছে। রডগুলোতে জং ধরেছে। ভবনের বাইরের দেওয়ালেও শ্যাওলা পড়ে গেছে।

পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসে আসা-যাওয়া করি। প্রতিমাসে পোস্ট অফিসে আসতে হয় টাকা নিতে কিন্তু সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন ওপরের ছাদ ধসে পড়ে।

আরও পড়ুন: মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ার আতঙ্ক, বৃষ্টি হলে চুয়ে পড়ে পানি

সেবা নিতে আসা আরেক গ্রাহক শেখ নেছারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোর খারাপ অবস্থা তা জানতাম কিন্তু এতো পরিমাণ খারাপ তা আমাদের জানা ছিল না। এই পোস্ট অফিস ভবনে এলে স্পষ্ট বোঝা যায়। যখন ভবন ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে তখন সরকারের টনক নড়বে।

jagonews24

উপজেলা পোস্ট মাস্টার মো. দহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা পোস্ট অফিসে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে আসছি। ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ে অফিসের অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। গরমের সময় আমরা ভয়ে ফ্যান চালাই না, কারণ কখন যে ফ্যান আমাদের কিংবা সেবাগ্রহীতাদের ওপর খুলে পড়ে। এমতাবস্থায় আমরা সেবার মানও বাড়াতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, যে কার্যক্রমগুলো না করলেই নয় সেগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি। পোস্ট অফিসের প্রতি সাধারণ মানুষদের আগ্রহী করতে চাইলে দ্রুত পরিত্যক্ত এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে একটি আধুনিক মানের নিরাপদ পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণ করা জরুরি। তা না হলে এক সময় সরকারি এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে সাধারণ মানুষরা পুরোপুরি মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। কতবার যে ভবনের এমন অবস্থার কথা কাগজে-কলমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র আশ্বাসই এখন আমাদের প্রধান ভরসা।

আরও পড়ুন: দিনে ৪০ হাজার টাকার আচার বিক্রি করেন হাবিব

ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল প্রদীপ কুমার জানান, খানসামা উপজেলার পোস্ট অফিসটি জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি আমরা জানি, এটা আমাদের রিপোর্ট দেওয়া আছে। গত অর্থ বছরে আমরা বাজেট পাইনি, যার ফলে কিছু করতে পারিনি। হেড অফিসেও বিষয়টি জানানো আছে। আশা করছি এই অর্থ বছরে কাজ হয়ে যাবে।

এমদাদুল হক মিলন/জেএস/এমএস