‘দুবাই থেকে পালিয়ে উজবেকিস্তানে এমটিএফইর মাসুদ’
দুবাই থেকে উজবেকিস্তানে পালিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আলোচিত কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জের (এমটিএফই) প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আল ইসলাম। বাংলাদেশে কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এর কিছুদিন পরই দুবাই থেকে তিনি পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
দুবাইয়ে অবস্থান করা এমটিএফইর অন্যতম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কর্নেল (অব.) মোবাশ্বিরুল ইবাদ ওরফে মিশু জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মিশু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হুদার ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র হতে চেয়েছিলেন এমটিএফইর সিইও ইবাদ
মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাশ্বিরুল ইবাদ মিশু বলেন, মাসুদের বিষয়ে স্থানীয় কনস্যুলেট, সিআইডিসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে সে উজবেকিস্তানে পাড়ি দেয়। তাকে ধরতে না পারলে সঠিক তথ্য মানুষ জানবে না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে কথা বলার পর মাসুদ এখন হুমকি দিচ্ছে। সে আমাকে পথে বসিয়েছে। মানুষ ভাবছে আমি অনেক বড় কিছু। বাস্তবতা হলো, সে আমার মানসম্মান সব শেষ করে দিয়েছে। যাদের আমি চিনিও না, আমার নামে বলা হচ্ছে টাকা নিয়েছি। অথচ আমার নিজের সব টাকা ব্লক করে দিয়েছে। আমি এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
আরও পড়ুন: মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমটিএফই। রাতারাতি ধনী হওয়ার লোভে এমএলএম কোম্পানির এই প্রতারণায় জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। প্রতারণা করা এমটিএফইর প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী মাসুদ আল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুর।
এদিকে, এমটিএফইর মাসুদকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, এরইমধ্যে মাসুদকে প্রধান আসামি করে কয়েকটি থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন সিআইডির কাছেও মাসুদের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এমটিএফই প্রতারণা নিয়ে তদন্ত এগিয়ে চলছে। মাসুদকে ফিরিয়ে আনা গেলে অনেক বিষয় খোলাসা হবে। এজন্য তাকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৮ লাখ মানুষকে ‘পথের ফকির’ বানালো এমটিএফই
পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) শাখা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যে কোনো অপরাধী বিদেশে অবস্থান করলে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হয়। ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এমটিএফইর মূল হোতা মাসুদকে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়ে মাসুদের বিষয়ে অবহিত করা হবে।
এমআরআর/জিকেএস