ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে গিয়ে মারধর, হাসপাতালে প্রেমিকা

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৩

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন শুরু করেন এক কলেজছাত্রী। পরে ওই পুলিশ সদস্যের নির্দেশে তার পরিবারের লোকজন ছাত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বর্তমানে ওই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

উপজেলার পাঁকা-সোলইপাড়া গ্রামের পুলিশ সদস্য রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি রায়গঞ্জ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগী নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্রী।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় ৯ মাস আগে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সম্পর্ক গভীর হলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। কয়েকদিন আগে তিনি পাপ্পুকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হয়ে টালবাহানা শুরু করেন। যোগাযোগ বন্ধ করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে টাকা দিয়ে আপসের চেষ্টা করেন। বাধ্য হয়ে সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

একপর্যায়ে পাপ্পু ফোন করে পরিবারের লোকদের নির্দেশ দিলে তারা তাকে মেরে বাড়ি থেকে বেড় করে দেন। পরবর্তীতে গেটের সামনেই অনশন চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর মামি তাকে দেখতে গেলে তাকেও মারধর করেন পাপ্পুর পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনিও আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। মেয়েটা একরকম নিরুপায় হয়েই এমনটা করেছে বলে জানতে পেরেছি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খাঁন বলেন, মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে কলেজছাত্রীর পক্ষে থানায় অভিযোগ করেছেন তার মামি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেজাউল করিম রেজা/এমআরআর/এএসএম