বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকে বাঁচাতে বাবা-মায়ের আকুতি
বান্দরবানে বিরল রোগে আক্রান্ত নুচিং মং নামে চার মাস বয়সী এক শিশু। জন্মের পর থেকে শিশুটির মাথা বড় হতে হতে এখন বহন অযোগ্য হয়ে গেছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না শিশুটির পরিবার। তাই সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সরকারি সহায়তা কামনা করেন শিশুটির বাবা-মা।
বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউপির ঢলুপাড়া এলাকার দিন মজুর ম্রানু মং মারমা ও সানু চিং মারমা দম্পতির প্রথম সন্তান নুচিং মং। চলতি বছরের ১৭ মে সদর হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম হয় তার।
শিশুটির মা সানু চিং মারমা জানান, জন্মের পর থেকে ছেলের মাথাটি অস্বাভাবিক ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে চট্টগ্রাম হাসপাতালের নিউরোলজিকাল বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে চট্টগ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করানো হলেও এই রোগের কোনো আরোগ্য হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় বিরল রোগে আক্রান্ত আশামনি
কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মং ফু মারমা জানান, ঢলুপাড়া এলাকার দিন মজুর ম্রানু মং মারমার ছেলেকে দেখেছি এবং এটা আসলেই হৃদয় বিদারক। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু নুচিং মং এর চিকিৎসা খরচ যোগাতে জেলা পরিষদ, সমাজ সেবাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটি যে রোগে আক্রান্ত সেটাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইড্রোকেফালাস বলা হয়। সাধারণত গর্ভাবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে শিশুরা। বান্দরবানে এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নয়ন চক্রবর্তী/জেএস/জিকেএস